Header Ads

Header ADS

দুঃসাহসিক অভিযাত্রা


দুঃসাহসিক অভিযাত্রা


৫ জুলাই শুক্রবার ২০১৯। ভোরে ফজর নামাজ পড়ে রওনা দিলাম বাসা থেকে।আমাদের কথা ছিল ভোর ৬.৩০ মিনিটে সবাই অলংকার শপিং কমপ্লেক্সের নিচে অবস্থান করা। আমি গেলাম ১০ মিনিট দেরিতে। তাও ভাবছিলাম আমি বুঝি সবার পরে গেছি। কারণ কামরুল কে বলে রেখেছিলাম তুই বাসা থেকে রওনা দিলে আমাকে ফোন দিবি। যার কারণে সে আমাকে কয়েক বার ফোন দিলেও ধরতে পারিনি নামাজে থাকাতে। এরপর বিকাশও কয়েক বার ফোন দিছে। নামাজ শেষ করে বিকাশের ফোন রিসিভ করলাম। সে বলল কিরে তুই কয়? আমি তো চলে এসেছি তুরা কেউ আসোছ না কেন! আমি বললাম তুই দাঁড়া আমি আসতেছে। এসে দেখি সে রাস্তার ঐপারে দাড়িঁয়ে আছে। তাকে ফোন দিয়ে এপারে আসতে বললাম। এরপর ফোন দিলাম কামরুল কে। কিরে কামরুল তুই কয়? সে সাউন্ড একটু ছোট করে বলতেছে আর বলিস না! আমি তো আটকে গেছি! আমি তো মনে মনে ভাবছিলাম তার আত্মি-সজন কেউ বুঝি মারা গেল নাকি! কিন্তু না সে বলতেছে, আমার বাড়িওয়ালা গেট খুলতেছে না। আমি এতো বার কলিং বেল দিলাম তবু খুলতেছে না। বাড়িওয়ালা ৮ টার আগে ঘুম থেকে ওঠেনা। আমি বললাম জোড়ে দরজা বাড়ি দে। সে বলতেছে দিছে অনেক তবু খোলতেছে না।তারপর বলাম কি করবি তো। তখন সে বলল তুরা ৭ টা ৭০.৩০টা পরর্যন্ত অপেক্ষা কর। আমি না আসতে পারলে তুরা চলে যাস আমি না হয় একা পরে যাব। ঠিক আছে ভাল করে চেষ্টা কর বলে কথা শেষ করলাম। আমি আর বিকাশ বসে আছি। এখনও কেউ আসল না।মনটা খারাব হয়ে কেউ যখন সময় মত আসতে পারেনা কাউকে সময় দিয়ে। তার কিছুক্ষণ পর আকতার বিকাশ কে ফোন দিল কোথায় তুরা। বিকাশ ঠিকানা বলল সে আসল। মিনিট পাচেক পর আবার মোনায়েমও ফোন দিয়ে আসল। তারপর আমরা নাস্তা করল অলংকার আলিফ হোটেলে। আমরা নাস্তা করতেছি আর কামরুলের কথা নিয়ে হাসতেছি। শালার বাড়িওয়ালা নাকি দরজা খুলছে না সে দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে।তখন আকতার বলল সে দরজা জোড়ে বাড়ি দিচ্ছে না আন্টি জেগে যাবে সে জন্য! এভাাবে মজা করতে ছিলাম। এরপর একজন অন্যজনকে বলতেছি তুরা কেউ সময়ের দাম দিলিনা। নাস্তা খেয়ে বের হওয়ার পর দেখি কামরুল এসে হাজির। তারপর আমরা টিকিট কাটলাম একটা লোকাল বাসের। কারণ আমাদের বাজেট হল কম। যার কারণে মুলা-মুলি একটু বেশি চলছে। ৮০ টাকা করে চাইলেও আমরা জন প্রতি ৬০ টাকা করে টিকিট কাটলাম। উদ্দেশ্য আমাদের মিরসরাই মহামায়া লেক। ৭ টা বাজে আমাদের রওনা হওয়ার কথা থাকলেও আমরা ৮ টার পর রওনা হলাম। শুক্রবার হওয়াতে যাত্রী কম। লোকাল বাস হলেও আমরা বসার ৫ মিনিট পর ছেড়ে দিয়েছে। গাড়ি ছাড়ছে অলংকার পুলিশ বক্সের সামনে থেকে। আমরা মোট পাচ জন। কামরুল, বিকাশ, আকতার, মোনায়েম এবং আমি। আরেক জন আমাদের সাথে যোগ দিবে হচ্ছে আমরা গাড়ি থেকে নামার পর। যার জন্য গাড়ি ছাড়ার পর আমরা তাকে ফোন দিয়েছি। কিন্তু সে বলতেছে সে আসতে পারবে না! তার মায়ের অসুখ সে আসতে পারবে না দুঃখিত। তার নাম সয়ন। তার বাড়ি মিরসরাই মহামায়ার কাছে। যার কারণে আমরা ঠিক করলাম আগে সেখানে যাব। কারণ আমরা আরও কয়েকটা স্থানে যাওয়ার কথা আছে।কি আর করা। যেহেতু রওনা হয়ে গেছি তাই আর কিছু করার নাই। সে থাকলে হয়তো একটু ভাল হতো কারণ সে স্থানীয়।

বাসের মধ্যে হৈ-হুল্লার এবং গল্প করতে - করতে ১ ঘন্টার মধ্যে আমরা পৌছে গেছি। যেহেতু শুক্রবার রাস্তাও খালি তাই ভালই টানছে গাড়ি। বড় তাকিয়ার থেকে একটু সামনে আমরা নামেছি। অর্থাৎ মহামায়া যাওয়ার পথে। রাস্তা পাড় হয়ে ৭০ টাকায় সিএনজি টিক করলাম একদম লেক পর্যন্ত। লেকে ঢুকতে টিকিট কাটতে হয়। যার জনও গেটে নেমে আমরা টিকিট কাটলাম। টিকিট জন প্রতি ১০ টাকা। ভিতরে প্রবেশ করলাম সবই। কি এক দারুণ অনুভুতি। চারদিকে সবুজে সমাহার। কিছুটা পথ হাটার পর সামনে বিশাল মহামায়া লেক। লেকের ধাড়ে অনেকে দেখলাম বর্শি বায়তেছে। আর কিছু নৌকা ঘাটে বাধাঁ আছে। পানি অনেক কম ।যার কারণে একদম নিচে নৌকা বাধাঁ। পানি একদম পরিস্কার। পানির নিচেও অনেকটা দেখা যাচ্ছে। আমরা নোকাতে ছড়িনি। তবে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করছি, ছবি তুলছি,মজা করছি।প্রায় ১ ঘন্টা অবস্থান করে তারপর আমরা মহামায়া বিদায় দিয়ে রাবার ড্যাম দেখার জন্য রওনা হলাম। মহামায়া থেকে ৫ মিনিট হাটলেই রাবার ড্যাম। রাবার ড্যামে যাওয়া আসার পথে আমরা অনেক মজা করছি। কেউ গাছের কাঠাল নিয়ে কেউ বা পুকুর পাড়ে গরু দেখে গরু নিয়ে ইত্যাদি। রাবার ড্যামে দেখার তেমন কিছু নেই। শুধু একটা সোইচ গেট ছাড়া। অর্থাৎ যেটা কে বলা হয় মিরসরাই বাধঁ। এটা ভেঙ্গে গেলে মিরসরাই নাকি ডুবে যাবে। যদিও রাবার ড্যাম মানে অনেকের মত আমরাও ভাবছিলাম হয়তো রাবরের বাগান হবে! কিন্তু আসলে তা নয়। আসলে এখানে যে কালবাট আছে তার নিচে পানি যাওয়ার পথে রাবার জাতিয় একটা জিনিস দেয়া আছে। যেটা পানির সাথে উপরের দিকে হয়তো ফুটে ওঠে। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর একটা গ্রæপ ছবি নিয়ে আমরা আবার রওরা হলাম। আমাদের এবারের উদ্দেশ্য খৈয়াচড়া ঝর্ণা। যার কারণে এখন আমাদের আবার যেতে হবে মেইন রোড়ে। যেখান থেকে রওনা দিয়ে ছিলাম। আমরা হেটেই রওনা দিলাম। গাড়ি হলে হয়তো ৫০ টাকা নিত। ১০-১৫ মিনিটের পথ। আমাদের বাজেট যেহেতু কম।তাই যেমনে-এমনে খরচ করা সম্ভব না। যার কারণে আমরা হেটে রওরা হলাম। তাতে আমাদের আরও বেশি মজা হয়েছে। একে তো অনেক কিছু দেখা হলো তার উপর আমাদের কথার কোন শেষ নেই। কেউ ইতিহাস নিয়ে, কেউ রাজনীতি নিয়ে, কেউ ধর্ম নিয়ে, কেউ আবার গান নিয়ে।এভাবে আমরা চলে আসলাম মেইন রোড়ে। মোর থেকে আমরা সিংগারা এবং আচার কিনলাম। তারপর একটা হাইছে উঠলাম। খৈয়াচড়ার রাস্তা পর্যন্ত জন প্রতি পনের টাকা। আসার সময় গাড়িতে আচার শেষ করলাম। আর সিংগারা রেখে দিলাম পরের জন্য। হাইচ থেকে নেমে আবার একটা সিএনজি ঠিক করলাম একদম খৈয়াচড়া পর্যন্ত। জন প্রতি ২০ টাকা রেট করা ভাড়া।আমরা যেহেতু ৫ জন তাই একটা সিএনজি পুরা আমরা নিয়ে নিলাম। সিএনজিতে অনেক মজা হয়েছে। সবার সে কি গানের টান! শিল্পী নিজে থাকলে হয়তো হার্টফেল করত। এক-একজন এক-এক জায়গা থেকে গানের কলি ধরে, যার যেটা মনে আসে। এভাবে মজা করতে করতে চলে আসলাম খৈয়চড়া। যদিও এখান থেকে আরো অনেক পথ হাটতে হবে তবে খৈয়াচড়া দেখা যাবে। তবু গাড়ি সব এখানে নামিয়ে দেয়। কারণ তাদের থামার স্পট ওখানে। যায়গা টা অনেক উচু-নিচু যার কারণে অনেকে লাটি নিয়ে যায়। ২-৩ হাত একটা লাটি ২০-৩০ টাকা ধরে বিক্রি হয় সেখানে। আমাদের এখানে ৩ জনের আগে আসার অভিজ্ঞগতা আছে। যার কারণে আমরা কিছু নেয়নি। শুধু মাত্র এক গøাস করে লেবুর শরবত পান করলাম। সেখানে বিক্রি করে এক গøাস ৫ টাকা। তবে মুলা-মুলি না করলে অনেকের থেকে ১০ টাকা করেও নিয়ে নেয়। অনেকে আবার সেখানে কিছু হোটেল আছে যেগুলোতে কাপড়-চোপড় রেখে যায়। বিনিময়ে তাদের হোটেলে দুপুরের খাবার খেতে হয়। আমরা সব কিছু নিয়ে একদম ঝর্ণার মূল জাগায় চলে আসলাম।  যাওয়ার পথে সবাই কাপড় পরিবর্তন করলাম। যেহেতু পানি আছে আর পাহাড়ে ওঠতে হবে তাই ত্রিকোয়াটার পড়লাম সবাই শুধু কামরুল বাধেঁ। সে নাকি ভয় পায় উপরে ওঠলে যার কারণে সে বলছে সে নিছে থাকবে। যার কারণে আমাদের কাপড় ব্যাগ রাখতে কোন সমস্যা হয়নি। কিছুক্ষণ নিচের ঝর্ণাতে লাফা-লাফি করে আমরা উপরে দিকে রওনা হলাম। নিচে থাকল কামরুল আর মোনায়েম। আমি বিকাশ আর আর আকতার উপরের দিকে রওনা হলাম ঝর্ণার শেষ দেখার জন্য। ৭/৮ পর্যন্ত গেলাম তবু ঝর্ণার শেষ দেখি না । তারপর হতাশ হয়ে চলে আসলাম। হতাশের কারণ হলো ঐদিকে তেমন লোক জন নেই। যেহেতু আমরা দুই জন আসছি। ২ টা ঝর্ণা পর্যন্ত এসে নিচে আর বিকাশ কে খুজে পাইনি। কারণ এতো কষ্ট করে এতো টুকু সবাই আসতে পারে না। অনেক কঠিন পথ। অনেকে লাঠি এনে এখানে রেখে যায়। কারণ তখন লাঠিও একটা বুঝা মনে হয়। আমরা দুই জন উপরে ঝর্ণাতে মজা করে ঘুরে চলে আসলাম। আমি দুইটা ঝর্ণা থেকে লাফ দিয়ে নামলাম। যেটা আকতারও পারেনি।সে নাকি ভয় পায় লাফ দিতে। যার কারণে সে যে ভাবে উঠল সে ভাবে নামল। ৩ নাম্বার ঝর্ণা পর্যন্ত আসার পর দেখি কামরুল। কিরে তুই এখানে কেমনে! সে বলে আমি ব্যাগ গুলো ওদের দিয়ে চলে আসছি। তাকে দেখে একটু অবাক হলেও আমরা কিছুক্ষণ সেখানে থাকার পর নিচে নেমে গেলাম। প্রায় দুই-তিন ঘন্টা এখানে কাটিয়েছি আমরা। নিচে এসে ভীজা কাপড় আবার পরিবর্তন করলাম। তারপর সবাই সিঙ্গারা গুলো খেলাম। যদিও মোনায়েম, বিকাশ আগে থেকে রেডে হয়ে বসে আছে। কারণ তারা উপরে যায় নি। আমরা সেখান থেকে রওনা হলাম। দোকান থেকে এভার দুই গøাস করে শরবত খেলাম সবাই। তারপর জুমার নামাজ পড়ে আমরা গাড়ি করে আবার মেইন রোড়ের মাথায় আসলাম।এবার আমরা যাব সিতাকুন্ড চন্দ্রনাথ মন্দিরে। যার কারণে আমরা মেইন রোড থেকে হাইচ ঠিক করলাম সিতাকুন্ড পর্যন্ত। জন প্রতি ৩০ টাকা করে। আমরা সবাই ক্লান্ত তাই এখন আর কেউ তেমন কোন হৈ-হুল্লার করেনি। বরং সবাই প্রায় ঘুম দিতে দিতে চলে আসছি। এরপর আমরা সেখানে দুপুরে ভাতও খাইনি। ভাল মানের ভাল কিছু খাওয়ার জন্য। যার কারণে গাড়ি থেকে নেমে সিতাকুন্ড বাজারে গিয়ে একটা হোটেলে ভাত খেলাম। ভাতের ম্যানু ছিল ডিম, ডাল, সবজি। কারণ আমাদের সাধ্যের বাহিরে অন্য কিছু। তবু বিল দিবার সময় দেখি ৩৭০ টাকা। এটা নিয়ে তো সবার মন খারাপ! শালার ডাল ডিম খেয়ে নাকি এতো টাকা!

ভাত খেয়ে রওরা দিলাম চন্দ্রনাথ মন্দিরের উদ্দেশ্য। বাজার থেকে আবার দুই কেজি আম নিয়েছি চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উপর খাওয়ার জন্য। এটার নাম সিতাকুন্ড পাহাড় হলেও চন্দ্রনাথ মন্দিরের কারণে এটাকে আবার চন্দ্রনাথ পাহাড়ও ডাকা হয়। প্রায় ৩১০ মিটার উপরে এই মন্দির। সিতাকুন্ড বাজার থেকে ৫০ টাকা দিয়ে একটা টমটম ঠিক করে সবাই চলে আসলাম চন্দ্রনাথ মন্দিরে ওঠার জাগায়। গাড়ি ভাড়া মিটিয়ে আমরা রওনা দিলাম পাহাড়ের উদ্দেশ্য। পাহাড়ে ওঠার দুইটা পথ। একটা ডান দিকে একটা বা দিকে। আমরা বা দিক দিয়ে ওঠলাম।কারণ বিকাশ কামরুল বলতেছে বা দিক দিয়ে নাকি সহজ। আমি যদিও এই প্রথম তাই তেমন কিছু জানি না। তাই তাদের সাথে আমি রওনা হলাম বা দিকে। যদিও আমি বলেছিলাম দেখে মনে হচ্ছে ডান দিক দিয়ে কাছে। কিন্তু এট একটু খাড়া পথ। কিছু উঠার পর আমরা বসে গেলাম। দম যেন যাচ্ছে আর আসছে। কারণ আমরা একটা পাহাড় শেষ করে এসেছি। তারপর আবার মাত্র ভাত খেয়েছি।তা ছাড়াও আমাদের সবার কাছে রয়ছে একটা করে ব্যাগ। যার জন্য অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে উপরে ওঠা।তারপরও আমরা থেমে যায়নি আমাদের দঃসাহসিক অভিযাত্রায়। এভাবে প্রায় ১০/১২ বার আমরা দম বা বিশ্রাম নিয়ে তারপর আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছতে সক্ষম হয়েছে। উপরে ওঠার পর অনেক শান্তি লাগে। প্রথমে গিয়ে সবাই মন্দিরে বারান্দায় শুয়ে পড়ে না হয় বসে বসে সবাই বিশ্রাম নেয়। আমরাও কিছুক্ষণ শুয়ে বসে কাটিয়েছি। উপরে ওঠার সময় যে ঘাম দিয়েছিল সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর একদম ফ্্েরশ হয়ে গেছি। মনে হচ্ছে আমাদেন কোন কষ্ট হয়নি। সবার মন একদম ফ্্েরশ হয়ে গেছে। পাহাড় থেকে পুর চট্টগ্রাম কে দেখে মনে হচ্ছে একটা শাপ খেলার ঘর! চার দিকে কি সুন্দর দৃশ্য। সেখানে আমরা ছবি তুললাম, আম খেলাম, অনেক গল্প করলাম। প্রায় ৫.৩০ মিনিটের দিকে আমরা উপর থেকে আবার নিচের দিকে নামা আরম্ভ করলাম। এবার আমরা নামতেছি ডান দিক দিয়ে। কিছু দুর নামার পর আবার ক্লান্ত আমাদের ধরে ফেলেছে। যার কারণে আমরা আবারও জাগায়-জাগায় বিশ্রাম নিয়ে নামলাম। আমাদের সবার পা চালাতে অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সবার পায়ের জোরও চলে গেছে। পা দেওয়ার সময় যার কারণে ¯িøপ করতেছে। একজন তো পড়ে পায়েও ব্যাথা পেয়েছে। নিচে নামার পর শুরু হলো আবার বৃষ্টি। যদিও বৃষ্টির পরিমাণ কম ছিল।যার কারণে আমরা কোথাও দাড়ায় নি। অবশ্য কিছুক্ষণ পর বৃষ্টিও বন্ধ হয়ে গেছে। তারপর আমরা ঠিক করলাম ট্রেনে যাব। কারণ ট্রেনে গেলে আমাদের ভাড়া কম হবে। যার কারণে ৭০ টাকা দিয়ে একটা সিএনজি নিয়ে আমরা সিতাকুন্ড রেল ষ্টেশনে চলে আসলাম। ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ট্রেন চলে আসল। আমরাও ট্রেনে উঠে গেলাম। ট্রেনের টিকিট জন প্রতি ২০ টাকা করে চট্রগ্রাম পর্যন্ত। আমরা মোট ৫০ টাকা দিলাম। বললাম আমাদের টিকিট লাগবে না। আর যেহেতু এটা লোকাল ট্রেন। ট্রেনে জায়গা খালি নেয়। যার কারণে কেউ দাড়িয়ে  কেউ কোথাও বসে চলে আসলাম চট্রগ্রামে। তারপর ট্রেন থেকে নেমে আমাদের আজকের মোট হিসাব শেষ করে সবাই বিদায় নিলাম। এরপর যে যার মত নিজ বাসায় চলে গেলাম।


কিছু ছবি দেখতে পারেন আমাদের......


























কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.